আজ সোমবার, ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আজাদ যাবে কোনদিকে

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
আইনজীবী হিসেবেই রাজনীতিতে উত্থান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসের। বিএনপি এই নেতার ভাগ্য খুলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকালেই। ২০০৯ সালে নির্বাচনে জেতে এখনও পর্যন্ত তিনি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আসীন আছেন। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতার আশীর্বাদে তিনি ঝুট ঝামেলা থেকেও রেহাই পাচ্ছেন। তবে এবার নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, আইনজীবী সমিতি নির্বাচন তিনি কোন প্যানেলকে সমর্থন দিবেন।
আজাদ বিশ্বাস জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক পদে রয়েছেন। তবে দলীয় কর্মসূচীতে তাকে বেশী দেখা যায় না। কালে ভদ্রে এলেও ছবি তুলে চলে যান। গুঞ্জন রয়েছে, পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের ম্যানেজ করে তিনি সভা-সমাবেশ করেন। দলীয় কর্মসূচীতে না এলেও আজাদ বিশ্বাস ক্ষমতাসীনদের সভা সমাবেশে যান। এমনকি মঞ্চে উঠে আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমানের গুণও গান। এ নিয়ে বিশ্লেষকদের রসিকতা, নুন খেলে গুণতো গাইতে হবেই। শামীম ওসমানের ব্যক্তিগত সমাবেশে আজাদ বিশ্বাসকে দেখা গেছে। এসপি হারুন থাকাকালে শহরের মিশন পাড়ায় শামীম ওসমান সভা ডেকেছিলেন। সে সভা মঞ্চে আজাদ বিশ্বাস না উঠলেও মঞ্চের পাশে তাকে একা দাঁড়িয়ে বাদাম চিবুতে দেখা গেছে। গণমাধ্যমকর্মীরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানিয়েছিলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজে এসেছি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই সময় রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে ফুটপাতে দাঁড়িতে তিনি শামীম ওসমানে বক্তব্য মনযোগসহ শুনছিলেন। সূত্র মতে, আজাদ বিশ্বাস নারায়ণগঞ্জ ক্লাবেও নিয়মিত যান। সেখানে একটি বিশেষ জায়গায় তাকে দেখা যায়।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বানে বিএনপি প্যানেল দিলেও আজাদ বিশ্বাসকে কোন প্রচারণায় দেখা যায়নি। বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের সমর্থন দিতে তিনি এগিয়ে আসেননি। দল ও দলের বাইরে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, আজাদ বিশ্বাস কোন দিকে যাবেন। নিজের দলের সমর্থিত প্যানেলকে সমর্থন করবেন নাকি কৃতজ্ঞ হয়ে শামীম ওসমানের সমর্থিত প্যানেলকে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ